মর্যাদা_Short Film Stories_BD Films Info |
সাদিয়া আজ অনেক কেনাকাটা
করেছে! কেনাকাটা শেষ করেই সে একটা রেস্টুরেন্টে গেলো দুপুরের খাবারের জন্য।
রেস্টুরেন্টে গিয়ে সে খাবার শেষ করে বিল পরিশোধ করলো। এর মধ্যে বাইরে একজন
মধ্যবয়সী রিকশাচালক ঐ রেস্টুরেন্টের বাইরে বসে তার পুরাতন স্টিলের টিফিন বক্স বের
করে দুপুরের খাবার শেষ করলো। সাদিয়া রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে ঐ রিকশাচালককে ৫০
টাকায় তার বাসায় যাবার জন্য ঠিক করে। রিকশাচালক তাকে তার কথিত গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।
পৌঁছানোর পর সাদিয়া বললো তার হাতে অনেক ব্যাগ! তাকে যেনো কষ্ট করে একটু গলির ভিতরে
বাসার একদম সামনেই নামিয়ে দেয়া হয়। রিকশাচালক সাদিয়ার কথামতো তাকে গলির ভিতরে
বাসার সামনেই নামিয়ে দেয়। সাদিয়া ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ৫০ টাকার একটি নোট বের করে
রিকশাচালকের হাতে দেয়। রিকশাচালক সাদিয়ার কাছ থেকে আরো ১০ টাকা বেশি দাবি করে
যেহেতু সে তাকে অনেকখানি ভিতরে নিয়ে আসে। কিন্তু এ কথায় সাদিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে
রিকশাচালককে বকাঝকা করেছে। তাতে রিকশাচালকের মনে অনেক কষ্ট লেগেছে। কিন্তু সে
নাছোড়বান্দা হয়ে সাদিয়াকে আবদার করেই যাচ্ছিলো। কিন্তু সাদিয়া শেষ পর্যন্ত তাকে
"হারামখোর" সম্বোধন করে টাকা না দিয়েই বাসার ভিতরে চলে যায়। রিকশাচালকের
চোখে তখন পানি ছলছল করছিলো। সে তাকিয়ে তাকিয়ে সাদিয়ার প্রস্থান দেখছিলো। পাশে
সাদিয়ার বাসার দারোয়ান পুরো ব্যাপারটি প্রত্যক্ষ করছিলো। তিনিও একটু ক্ষীপ্ত। কারণ
রিকশাচালক এবং সে যে একই শ্রেণীভূক্ত। সাদিয়া বাসার ভিতরে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে বিশ্রাম
নিতে যাবে তখনই দরজায় আবার কলিংবেল। সে অনেকটা বিরক্তি প্রকাশ করে দরজা খুলে তার
বাসার দারোয়ানকে দেখলো। বাসার দারোয়ান তার ভ্যানিটি ব্যাগটি হাতে দাঁড়িয়ে আছে! সে
তখন ভ্যানিটি ব্যাগটি হাতে নিয়েই দৌড়ে বাসার বাইরে এসে দাঁড়ালো। রিকশাচালকটি বেল
বাজাতে বাজাতে ঐ দূরে চলে যাচ্ছে। যাকে সে "হারামখোর" বলে গালি দিলো সেই
আজ তার সাথে কত মহত্বের পরিচয় দিলো!